শিশুদের কি পেঁপে খাওয়ানো যাবে ? | ডা আবিদা সুলতানা
সুষম খাবারের মধ্যে পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ পুষ্টিবিদরা সবসময় দিয়ে থাকেন। কাঁচা হোক কিংবা পাকা— পেঁপের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। শিশু ও বয়স্কদেরও কি পেঁপে খাওয়া ভালো?
কিন্তু কথা হলো— পেঁপে খেলেই হবে না, তা সময় ধরে ও নির্দিষ্ট পরিমাণেই খেতে হবে। বেশি উপকার হবে ভেবে প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পেঁপে খেয়ে ফেললে হিতে বিপরীতই হতে পারে। পাশাপাশি পুষ্টিবিদরা বলেছেন— খালি পেটে পেঁপে খাওয়া একেবারেই ভালো নয়। এতে ‘পেপসিন’ ও ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকগুলো পাকস্থলীতে গিয়ে গণ্ডগোল বাঁধায়। আর শিশুদেরও পেঁপে পরিমাণমতোই খাওয়াতে হবে। জেনে নিন বেশি পেঁপে খেলে যা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে?
শিশু পেঁপে খেলে সাধারণত হজম হবে না। পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে, যা বেশি মাত্রায় শরীরে গেলে শিশুর হজমের সমস্যা হতে পারে। পাশাপাশি পেঁপেতে থাকা ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচক হজম প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে। ‘প্যাপাইন’ অধিক পরিমাণে পেটে গেলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হতে পারে। এ জন্য শিশুদের ক্ষেত্রে পেট ফাঁপা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যাও হতে পারে।
আর অ্যালার্জির সমস্যা বড় আকার ধারণ করতে পারে। পেঁপের মধ্যে ‘প্যাপাইন’ নামক উৎসেচকটি অ্যালার্জিজনিত সমস্যার বড় কারণ হতে পারে। ‘ল্যাটেক্স অ্যালার্জি’ যাদের আছে, তারা পেঁপে বুঝেশুনে খাবেন। কারণ অ্যালার্জির ধাত থাকলে যদি পেঁপে বেশি খেয়ে ফেলেন, তা হলে শ্বাসযন্ত্রে প্রদাহ হতে পারে, ত্বকে চুলকানি-জ্বালাও হতে পারে।
পেঁপেতে ভিটামিন 'সি' বেশি পরিমাণে থাকে। রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে ভিটামিন 'সি' গুরুত্বপূর্ণ। তবে তা খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত পরিমাণে পেঁপে খেলে কিডনিতে পাথর জমার আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে।
এদিকে অন্তঃসত্ত্বাকে পেঁপে খাওয়া সম্পূর্ণ নিষেধ। কারণ অন্তঃসত্ত্বাকে পু্ষ্টিকর খাবার খাওয়ানো জরুরি বটে। তাই রকমারি ফল-সবজি দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু পেঁপে এ সময়ে খাওয়া নিরাপদ নয়। কাঁচা পেঁপেতে ল্যাটেক্সযুক্ত পদার্থ রয়েছে। তা গর্ভাশয় সঙ্কোচনের কারণ হতে পারে। গর্ভাবস্থায় কাঁচা বা পাকা পেঁপে খেলে প্লাসেন্টায় রক্তক্ষরণ হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
এ ছাড়া পেঁপে কেলে রক্তে শর্করা কমে যেতে পারে। পেঁপে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। তাই ডায়াবেটিসের রোগীদের পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে একটি গবেষণা বলছে, পেঁপে যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত খাওয়া হয়, তা হলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা আচমকা কমিয়ে দিতে পারে। ফলে ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ দেখা দিতে পারে। যারা রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণের ওষুধ খাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে ‘হাইপোগ্লাইসেমিয়া’ বিপদের কারণ হতে পারে।
ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health
- ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।
Follow Me -
Facebook : Dr. Abida Sultana
Youtube : Dr. Abida Sultana
tiktik : Dr. Abida Sultana
No comments