ঘুম কম হলে শরীরের ওজন বাড়ে | ডা আবিদা সুলতানা
দিনে কিংবা রাতে যখনই পারছেন ঘুমাচ্ছেন। তাই বলে যে ওজন কমবে তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। আবার উল্টো দিকে, যারা রাত জেগে কাজ করছেন কিংবা পেশা অথবা পারিবারিক কারণ যাই হোক না কেন, তার জন্য কম ঘুমাচ্ছেন, তারা যে হঠাৎ করে মোটা হয়ে যাচ্ছেন, তেমনটিও নয়। আসলে কম ঘুম মানেই স্থূলত্ব আর বেশি ঘুম মানেই রোগা থাকা যায়— এ ধারণা মোটেই ঠিক নয়। ঘুমের কম বা বেশিতে নানা শারীরিক সমস্যা ভোগায়। ওজন বাড়া বা কমা নির্ভর করে আরও কিছু বিষয়ের ওপর। অবশ্যই এর সঙ্গে ঘুমও জড়িত।
কম ঘুম, অনিদ্রা ও স্লিপ অ্যাপনিয়ার মতো নানা সমস্যার কথা এখন অনেকেই জানেন। যাদের ওবেসিটি বা স্থূলত্ব আছে, তাদের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশই ‘অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া’-র শিকার। রাতের পর রাত জেগে থাকা, ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ হয়ে আসা, স্লিপ অ্যাপনিয়ার নানা লক্ষণ। এর সঙ্গে অনিদ্রা বা ইনসমনিয়াও জড়িত।
কথা হলো— ঘুম কম হলে আনুষঙ্গিক কিছু শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এই যেমন— খিদে বেড়ে যায়, ক্লান্তি-ঝিমুনির পাশাপাশি ভাজাভুজি-মিষ্টিজাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি বাড়ে।
ভেবেই দেখুন— পেশার কারণে যখন রাত জাগতে হয় কিংবা নিছক ওয়েব সিরিজ দেখে রাতের পর রাত জেগে কাটান, তখন মধ্যরাতের পর ভালোমন্দ খেতে ইচ্ছে করে নিশ্চয়ই। কেউ চকোলেট, কেউ আইসক্রিম কিংবা কেউ ম্যাগি-চাউমিন-পিৎজা অর্ডারও দিয়ে ফেলেন । এই যে খাওয়ার প্রতি আসক্তি, তা-ই হলো ওজন বাড়ার মূল কারণ।
যত কম ঘুম, ততই সিদ্ধান্তের ভুল। বিষয়টি বুঝিয়ে বলা যেতে পারে। রাতে যখন জাগছেন, আর প্রচণ্ড খিদে পাচ্ছে, তখন একটির জায়গায় দুটি মিষ্টি খেয়ে ফেলতেও দ্বিধা করেন না। সারা দিনে ডায়েটের কারণে যিনি আইসক্রিম ছুঁয়েও দেখেন না, তিনি রাত জাগলে বা কম ঘুমালে তখন এজাতীয় খাবারই বেশি খুঁজবেন। কারণ ঘুম কম হলে খিদে ও হজমের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। একই সময়ে বাড়ে স্ট্রেস হরমোন কর্টিসলের ক্ষরণ। একদিকে মনের ওপর চাপ, শরীরে ক্লান্তি, তার ওপরে খিদের হরমোনের কারণে ‘ওভারইটিং’ বা ‘বিঞ্জ ইটিং’-এর প্রবণতা বাড়ে। ওজন বাড়তে শুরু করে তখনই। এমনকি রাত জাগলে ইনসুলিনের কার্যকারিতাও কমে যায়, তখন চেহারায় মেদের প্রলেপ পড়ে।
এর থেকে বাঁচতে রাতে টানা ঘুমই জরুরি। সে জন্য রাত জেগে মোবাইল-ল্যাপটপ দেখা বন্ধ করতে হবে। পেশার কারণে রাজ জাগতে হলে, মধ্যরাতের পর পানি ছাড়া আর কিছু খাবেন না। ঘুমাতে যাওয়ার পর ও ঘুম থেকে ওঠার সময় একই রাখার চেষ্টা করুন। এতে ‘স্লিপ সাইকেল’ ঠিক থাকবে। আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health
- ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।
Follow Me -
Facebook : Dr. Abida Sultana
Youtube : Dr. Abida Sultana
tiktik : Dr. Abida Sultana
No comments