Header Ads

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায় | ডা আবিদা সুলতানা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়, ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য,

বিশ্বের সবচেয়ে প্রচলিত স্বাস্থ্য উদ্বেগের মধ্যে একটি হলো ডায়াবেটিস। এটিকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণে খাদ্য, ব্যায়াম ও জীবনধারা পরিবর্তনের একটি সুষম সমন্বয় প্রয়োজন। প্রতিদিনের ডায়েট রুটিনে কিছু পরিবর্তন আনলে প্রাকৃতিকভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের ঘরোয়া উপায়


১. মেথি ভেজানো পানি

মেথি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী একটি খাবার। এতে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা কার্বোহাইড্রেটের হজম এবং শোষণকে ধীর করতে সাহায্য করে, যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। মেথি ভেজানো পানি তৈরি করতে এক টেবিল চামচ মেথি অল্প পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে প্রথমে পানি পান করুন। এই সাধারণ অভ্যাসটি শুধুমাত্র রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্যই করে না, ইনসুলিন সংবেদনশীলতাও বাড়ায়। নিয়মিত খেলে গ্লুকোজ বিপাকের উল্লেখযোগ্য উন্নতি ঘটাতে পারে।


২. পেঁয়াজ সালাদ

কাঁচা পেঁয়াজ একটি ডায়াবেটিক-বান্ধব খাবার যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে বিস্ময়কর কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচা পেঁয়াজ খেলে চার ঘণ্টার মধ্যে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যায়। পেঁয়াজে সালফার যৌগ এবং ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে যা শরীরের ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া উন্নত করে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। সালাদ বা গার্নিশ হিসেবে প্রতিদিনের খাবারে পেঁয়াজ রাখা ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করার একটি সহজ এবং কার্যকর উপায়। এছাড়া পেঁয়াজেও প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে।


৩. কোল্ড প্রসেসড অয়েল

সঠিক রান্নার তেল নির্বাচন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পরিশোধিত তেলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ট্রান্স ফ্যাট এবং ইমব্যালান্সড ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা প্রদাহ এবং ইনসুলিন প্রতিরোধকে আরও খারাপ করতে পারে। এর পরিবর্তে সরিষার তেল, নারকেল তেল বা এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের মতো কোল্ড প্রসেসড অয়েল বেছে নিন। এই তেলগুলোর সুষম ফ্যাটি অ্যাসিড প্রোফাইল রয়েছে এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি যৌগ সমৃদ্ধ। এগুলো ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের (LDL) মাত্রা কমাতে সাহায্য করে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, যা বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

৪. খাবারের পরে ৫০০ ধাপ হাঁটা

নিয়মিত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ ডায়াবেটিস ব্যবস্থাপনার মূল ভিত্তি। প্রতি বেলা খাবারের পরে মাত্র ৫০০ ধাপ হাঁটার অভ্যাস উল্লেখযোগ্য পার্থক্য আনতে পারে। খাবারের পরে হাঁটার অভ্যাস পেশীকে সক্রিয় করে, যা শক্তির জন্য রক্ত ​​​​প্রবাহ থেকে গ্লুকোজ ব্যবহার করে, এভাবে রক্তে শর্করার মাত্রায় তীব্র স্পাইক প্রতিরোধ করে। এটি ইনসুলিন প্রতিরোধের ঝুঁকি কমায়, হজমে সহায়তা করে এবং ওজন ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করে। এই সাধারণ অভ্যাসের জন্য খুব বেশি সময় বা প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয় না। এর ফলে দীর্ঘস্থায়ী উপকার হতে পারে।


৫. রাতে আমলকি-হলুদের পানি

আমলকি এবং হলুদ দুটি শক্তিশালী উপাদান যা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। আমলকি ক্রোমিয়াম সমৃদ্ধ, যা ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা বাড়ায়, অন্যদিকে হলুদে কারকিউমিন থাকে, যা রক্তে শর্করা কমানোর বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। আমলকি হলদির পানি তৈরি করতে এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ আমলকির রস এবং এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ঘুমানোর আগে পান করুন।

ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health

ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।


Follow Me -

Facebook : Dr. Abida Sultana 

Youtube : Dr. Abida Sultana 

X : Dr. Abida Sultana 

tiktik : Dr. Abida Sultana 

No comments

Powered by Blogger.