অ্যালোভেরার উপকারিতা ও অপকারিতা | ডা আবিদা সুলতানা
অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী প্রকৃতির এক অনন্য উপহার। যা শুধু রূপচর্চা বা ঘরোয়া ওষুধে ব্যবহৃত হয় না বরং এটি শরীরের নানা রোগ প্রতিরোধেও কার্যকর। হাজার বছর ধরে আয়ুর্বেদ ও ভেষজ চিকিৎসায় এর গুণাগুণ প্রমাণিত।
চলুন জেনে নিই অ্যালোভেরার কী কী পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে।
অ্যালোভেরার পুষ্টিগুণ
অ্যালোভেরা নানা ভিটামিন ও খনিজের উৎস। এটিতে প্রায় ২০ ধরনের খনিজ উপাদান রয়েছে। ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম, ক্রোমিয়াম, সোডিয়াম, আয়রন, পটাশিয়াম, কপার, ও ম্যাংগানিজ ইত্যাদি ভালো পরিমাণে রয়েছে। ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন এ, সি, ই এবং ভিটামিন বি ১, বি ২, বি ৩,বি ৬,ও ভিটামিন বি ১২ রয়েছে।
শরীরের জন্য অত্যাবশ্যক সব অ্যামাইনো এসিডসহ প্রায় ১৮ থেকে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিড রয়েছে। এ ছাড়াও ফলিক এসিড, কোলিন, ফ্যাটি এসিড ও প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
১. অ্যালোভেরাতে থাকা ল্যাকটেটিভ উপাদান পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বাড়ায়।
২. অ্যালোভেরার জুস ক্লান্তি দূর করে দেহকে সতেজ করে।
৩. এটির ঔষধি গুণ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল ও সুগারের মাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় আনতে সাহায্য করে।
৪. দেহে ক্ষতিকর পদার্থ প্রবেশ করলে তা অপসারণ করতে সাহায্য করে অ্যালোভেরা।
৫. বিভিন্ন চর্মরোগ ও ক্ষত সারায়।
৬. অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকায় এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।
৭. অ্যালোভেরার আঠালো রস খাদ্যনালী ও পরিপাকতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে পারে।
৮. অ্যালোভেরার উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও সক্রিয় করে এবং দেহের ভারসাম্য রক্ষা করে। এটি দেহে সাদা ব্লাড সেল গঠন করে, যা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে।
৯. অ্যালোভেরা জুসের অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান শরীরে জমে থাকা মেদ দূর করে এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ওজন কমাতে সাহায্য করে।
১০. অ্যালোভেরার উপাদানগুলো হাড় ও মাংসপেশীকে শক্তিশালীকে করে। হৃদযন্ত্রের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
চুল ও ত্বকের যত্নেও উপকারী অ্যালোভেরা
ত্বকের র্যাশ, চুলকানি, রোদে পড়া দাগ দূর করে অ্যালোভেরা জেল। এই জেল ত্বকে লাগালে ত্বক উজ্জ্বল ও মসৃণ থাকে এবং বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
চুলের শুষ্ক ভাব এবং ত্বকের চুলকানি দূর করার জন্য অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান চুল পড়া ও খুশকি দূর করে।
কীভাবে খাবেন
অনেকেই জানেন না অ্যালোভেরা কীভাবে খেতে হবে। এটি জুস বা সালাদ হিসেবে খাওয়া যায়। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস অ্যালোভেরা জুস পান করলে অনেক রোগ প্রতিরোধ করা যায়। অ্যালোভেরা কিউব করে কেটে সালাদ বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া স্মুদি বা শরবতে মিশিয়ে নিয়ে খেতে পারেন এই কিউব।
সতর্কতা
অ্যালোভেরা খেলে অনেক সময় পেটের সমস্যা ও এলার্জির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলে ফুসকুড়ি, জ্বালাপোড়ার মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অ্যালোভেরা রাখতে চাইলে পুষ্টিবিদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া ভালো।
ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health
- ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।
Follow Me -
Facebook : Dr. Abida Sultana
Youtube : Dr. Abida Sultana
tiktik : Dr. Abida Sultana
No comments