চোখের যেসব রোগ নারীদের বেশি হয় | ডা আবিদা সুলতানা
নারীদের চোখের কিছু রোগ বেশি হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যা হরমোনের পরিবর্তন, বয়স এবং জীবনধারার কারণে হতে পারে। সাধারণত নারীদের মধ্যে যেসব চোখের সমস্যা বেশি দেখা যায় তা হলো—
শুষ্ক চোখ
এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ওঠানামার কারণে নারীদের মধ্যে শুষ্ক চোখের সমস্যা বেশি হয়। গর্ভাবস্থা, মেনোপজ এবং জন্মনিয়ন্ত্রণ ওষুধ গ্রহণের ফলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
গ্লুকোমা
এটি চোখের স্নায়ুকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, যা ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি কমিয়ে দেয়। নারীদের গ্লুকোমার ঝুঁকি বেশি, বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সের পরে।
ক্যাটারেক্ট
চোখের লেন্স ধীরে ধীরে ঘোলা হয়ে যাওয়ার কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী নারীদের এই রোগের প্রবণতা বেশি থাকে।
ম্যাকুলার ক্ষয়
এটি রেটিনার কেন্দ্রস্থলের অবনতি ঘটায়, যা স্পষ্ট দেখার ক্ষমতা নষ্ট করে। বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয় নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
থাইরয়েডজনিত চোখের রোগ
থাইরয়েড হরমোনের অসামঞ্জস্যের কারণে চোখ ফুলে যাওয়া, লাল হওয়া বা ডাবল ভিশন হতে পারে। হাইপারথাইরয়েডিজম (বিশেষত গ্রেভস ডিজিজ) নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি
ডায়াবেটিস থাকলে চোখের রক্তনালীগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা দৃষ্টিশক্তির স্থায়ী ক্ষতি করতে পারে। নারীদের মধ্যে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস থাকলে এই রোগের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
অপটিক নিউরাইটিস
এটি চোখের নার্ভের প্রদাহজনিত রোগ, যা দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ও ব্যথার কারণ হতে পারে। এটি অনেক সময় মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের সঙ্গে সম্পর্কিত থাকে, যা নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
প্রতিরোধ ও করণীয়
১. নিয়মিত চোখের পরীক্ষা করানো।
২. পর্যাপ্ত পানি পান ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া।
৩. দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের দিকে না তাকিয়ে চোখকে বিশ্রাম দেওয়া।
৪. রোদে বের হলে সানগ্লাস ব্যবহার করা এবং
৫. ধূমপান ও অতিরিক্ত প্রসেসড খাবার এড়ানো।
ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health
- ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।
Follow Me -
Facebook : Dr. Abida Sultana
Youtube : Dr. Abida Sultana
tiktik : Dr. Abida Sultana
No comments