চোখ বেশি কচলালে হতে পারে যে রোগ | ডা আবিদা সুলতানা
আমরা প্রায়ই কারণে অকারণে চোখ কচলাই। এর ফলে চোখের কর্নিয়ার স্বাভাবিক গোলাকার আকৃতি পরিবর্তন হয়ে শঙ্কু আকৃতি নেয়। তাছাড়া ক্রমবর্ধমান পাতলা এবং অনিয়মিত হয়ে যায়। একে কেরাটোকোনাস বলে। কর্নিয়া হল চোখের সামনের স্বচ্ছ একটি অংশ যা ‘চোখের মনি’ নামেও পরিচিত। এই রোগটি ছোঁয়াচে নয় এবং ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে দুটি চোখকে প্রভাবিত করে। এতে চোখের দৃষ্টি শক্তি কমে যায়।
কাদের বেশি হয় ?
এই অসুখ প্রতি ২০০০ জনের মধ্যে একজনের হতে পারে। রোগের লক্ষণ খুব অল্প বয়সে দেখা যায় এবং রোগ বৃদ্ধির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি হয় ১০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে।
এই রোগ হওয়ার কারণ
সাধারণত বিশ্বাস করা হয় যে পরিবেশগত এবং জেনেটিক উভয় কারণই এর বিকাশে ভূমিকা পালন করে।
কী করে বুঝবেন ?
বাচ্চা বয়সে চোখ অনেক বেশি চুলকানোর ইতিহাস থাকলে কিংবা খুব কম সময়ের ব্যবধানে চোখের পাওয়ার পাল্টাতে থাকলে সতর্ক হতে হবে। সাধারণত আঠারো থেকে বিশ বছর বয়সের মধ্যে চোখের পাওয়ার স্থির হয়ে যায়। সেটা যদি বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে, তা হলে সেটি কেরাটোকোনাসের প্রাথমিক পর্ব হতেও পারে। যে সব ব্যক্তির উচ্চ সিলিন্ড্রিক্যাল কিংবা মাইনাস পাওয়ার থাকে, তাঁদের কেরাটোকোনাস হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
কেরাটোকোনাসের চিকিৎসা
চশমা : কেরাটোকোনাস রোগীদের প্রাথমিক অবস্থায় চশমা দিয়ে দৃষ্টির উন্নতি করা যায়।
কন্ট্যাক্ট লেন্স : যখন রোগীদের শুধু চশমায় দৃষ্টি ভালো করা যায় না তখন দৃষ্টির উন্নতির জন্য কন্ট্যাক্ট লেন্স দেওয়া যায়।
কোলাজেন ক্রস লিঙ্কেজ : এই চিকিৎসা কেরাটোকোনাসের দুর্বল কর্নিয়াকে সবল করে এবং কেরাটোকোনাসের বৃদ্ধিকে থামিয়ে দেয়।
চোখের মনি পরিবর্তন করা : যখন কর্নিয়া অনেক বেশি পাতলা হয়ে যায় অথবা কর্নিয়াতে দাগ পড়ে যায় অথবা কন্ট্যাক্ট লেন্স কাজ করে না তখন দুর্বল কর্নিয়ার পরিবর্তে নতুন কর্নিয়া বা চোখের মনি সংযোজন করা হয়।
ডা আবিদা সুলতানা, Dr Abida Sultana, health, fitness, healthy life, সফলতার সূত্র, আসুন সুস্থ থাকি, মানসিক স্বাস্থ্য, asun sustho thaki, mental health
- ডা. আবিদা সুলতানা, (এমবিবিএস)
জেনারেল প্রাকটিসার, সিটি হেলথ সার্ভিসেস লিঃ এন্ড সিটি হাসপাতাল লিঃ
মেডিসিন, চর্মরোগ, বাত-ব্যাথা, শিশু ও গাইনী রোগ বিশেষজ্ঞ।
লেকচারার, জেড এইচ সিকদার মেডিকেল কলেজ এন্ড হসপিটাল, ঢাকা।
Follow Me -
Facebook : Dr. Abida Sultana
Youtube : Dr. Abida Sultana
tiktik : Dr. Abida Sultana
No comments